বাহক নিউজ় ব্যুরো: উপ নির্বাচনে শান্তিপুর আসনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়ে সিপিএম প্রায় ২০% ভোট পাওয়ার পর অনেকেই দাবি করেছিলেন আসন্ন পুরভোটে আর জোটের পথে হাঁটবে না সিপিএম এবং অন্যান্য বাম দল গুলো। কিন্তুু বিমান বসুর গলায় ভিন্ন সুর শোনা গেল। আর তা থেকে বোঝা গেল ফের কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হতে পারে বামফ্রন্টের।
কিছুদিন আগে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন পুরভোটে বাম-কংগ্রেস জোট হতে পারে। বিমান বসুর কথা অনুযায়ী কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোটের দরজা এখনও খোলাই রয়েছে। ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির সামনে দলীয় কর্মসূচির পর বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, “প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এই সপ্তাহে বামফ্রন্টের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। করোনা অতিমারির আগে যখন পুরভোটের কথা উঠেছিল, সেই সময়ে দুই পক্ষ আলোচনা করে প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ জায়গায় বোঝাপড়া হয়েছিল। এখন জোট নিয়ে নতুন করে বামফ্রন্টে আলোচনা হবে।”
ওপরের কংগ্রেস নেতৃত্ব জোট করলেও নিচু স্তরে অনেক ক্ষেত্রে জোট যেন দানা বাধে না। কিন্তুু পুরভোটে নিচু স্তরের সক্রিয়তার উপর ভিত্তি করেই ভোট কমে বা বাড়ে- এই বিষয়টি মাথায় রেখে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ বাবু বলেন, “পুরভোট অথবা পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাদেশিক স্তরের থেকেও নিচুতলায় মূল আলোচনা করতে হবে। স্থানীয় স্তরের নেতা ও কর্মীরা এই বিষয়ে মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তবে দলেও এই বিষয়ে আলোচনা হবে।”
সিপিআএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ভবানীপুর উপ নির্বাচনের পর বলেছিলেন, “বিধানসভা ভোট শেষ হয়েছে, জোটও শেষ হয়েছে।” আবার রাজ্যের বেশ কিছু সিপিআইএম নেতা সংযুক্ত মোর্চা ভাঙতে চান না বলে জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে শরিক দল ফরোয়ার্ড ব্লক জানিয়েছিল পরবর্তী ভোট গুলোতে বামেরা একক ভাবে লড়াই করুক। সব মিলিয়ে বামফ্রন্টের মধ্যে কংগ্রেসের জোট নিয়ে বিস্তর মত পার্থক্য আছে। বিমান বসুর কথা অনুযায়ী, জোট নিয়ে নতুন করে আলোচনার পরে বোঝা যাবে জল কোন দিকে গড়াবে।