বাহক নিউজ় ব্যুরো: মাত্র কয়েকদিন আগেই আমেরিকা সফর থেকে ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকার মসনদে বসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এইটা প্রথম আমেরিকা সফর। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই প্রধান ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়াও তিনি বৃহত্তর স্তরের সংস্থার প্রধানের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন। এছাড়াও তিনি কোয়াড বৈঠকেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। এদিকে, করোনা আবহের মধ্যেই তিনি বিদেশ সফরে গেছেন, এই নিয়ে রাজনৈতিক পারদ বেশ চড়েই ছিল। তবে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি ছবিকে কেন্দ্র করেই শুরু হল বিতর্ক। এই বিতর্কের শেষ হল মার্কিন সংবাদপত্রের বিবৃতির পরে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেওয়া একটি আমেরিকান সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস-এর একটি প্রচ্ছদ। ওই প্রচ্ছদে তাঁর নিয়ে প্রশস্তিসূচক লাইনও লেখা ছিল। ওই প্রচ্ছদের একদম উপরে লেখা “ধরনীর শেষ, সর্বোৎকৃষ্ট আশার কিরণ”। এই প্রচ্ছদ প্রকাশ্যে আসার পরে আন্তর্জাতিক স্তরে ভূয়সী প্রশংসায় দেখে গর্ব বোধ করে দেশবাসী। মুহূর্তের মধ্যেই তা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভার্চুয়ালি মানুষ ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় এই খবর।
এরপরেই, প্রকাশ্যে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভাইরাল প্রচ্ছদ প্রসঙ্গে আমেরিকার ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এই বিবৃতে তাঁরা জানায় যে, তাঁর নাম ব্যবহার করে ভুয়ো প্রচ্ছদ বানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে এবং এই ধরণের কোনো প্রতিবেদনে তারা প্রকাশ করে নি। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয় ফ্যাক্ট চেকিং-এর খেলা। এই ফ্যাক্ট চেকিং-এর পরেই জানতে পারা যায় যে, ওই ভাইরাল প্রচ্ছদে ‘সেপ্টেম্বর’ বানানটি ভুল। এই দুই তথ্যও নেট মাধ্যমে জানাজানি হয়ে যায় এবং শুরু হয়ে ব্যঙ্গের বন্যা।
উল্লেখ্য, ওই প্রচ্ছদে মোদীজির যে ছবিটি পাওয়া গেছে, সেটি সবরমতী আশ্রমের ছবি। ১২ই মার্চ তারিখে তিনি গুজরাটে গেছিলেন ‘আজাদি কা মহোৎসব’-এর সূচনার সময়ে। তখন তিনি সবরমতী আশ্রম ঘুরে ভিজিটার্স বুকে সাক্ষর করেন। সেই ছবিই ওই ভুয়ো প্রচ্ছেদে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা গেছে।