বাহক নিউজ় ব্যুরো: একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আজ যখন সারা বিশ্বের মানুষ সমস্ত কুসংস্কারের বেড়াজাল ভেঙে সময়ের গতির সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের আধুনিকতার ছোঁয়ায় রঙিন করে তুলেছে সেখানে ব্রিটিশ অধ্যুষিত এক গ্রাম নিদজেদের পুরোনো পরিপন্থা বজায় রেখে আদিম মানবজাতির মতো নগ্ন হয়ে নিদেদের জীবন-যাপন করছে।
হ্যাঁ ব্রিটেনের অন্তর্গত এমনই এক গ্রামের খোঁজ মিলেছে যার নাম স্পিলপ্লাজ, যার অর্থ খেলার জায়গা। কথিত আছে আদিবাসীদের ভাব-ভঙ্গিমায় নিজের জীবন অতিবাহিত করেন গ্রামবাসীরা।
১৯২৯ সালে লন্ডন ছেড়ে এই গ্রামে বসবাস করতে এসেছিলেন এক দম্পতি। তাদের নাম চার্লস ম্যাকস্কি ও ডোরথি। প্রথম দিকে এরা দুজন বসবাস শুরু করলেও পরবর্তীতেতাদের বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় পরিজনেরা এই গ্রামের খোঁজ পেয়ে এখানে আসেন এবং একসাথে বসবাস করা শুরু করেন তারা।
স্পিলপ্লাজ গ্রামের অধিবাসীদের জীবন যাপন বর্তমান সময়ের চেয়ে একটু আলাদা। জানা যায় আধুনিক সমাজের মতো চোখে সানগ্লাস, গলায় মোটা চেন, কানে দুল, সহজ জীবন যাপনের জন্য গ্রামে বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও গ্রামবাসীরা নিজদের পোশাকে আবৃত করতে অনিচ্ছুক। নগ্ন হয়েই গ্রামে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন স্পিলপ্লাজবাসীরা।
তবে গ্রামের বাইরে কোনো জায়গায় বা শহরে গেলে সেখানকার সামাজিক আদব কায়দার দিকে খেয়াল রেখে পোশাক পড়েই যাতায়াত করেন গ্রামবাসীরা। বর্তমানে ১২ একর জমির ওপর মোট ৫৫ টি পরিবার রয়েছে এই গ্রামে, রয়েছে শিশুদের জন্য একাধিক ক্রীড়াপ্রাঙ্গনও।
শোনা যায় এই গ্রামে একাধিক ফাঁকা জমি রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখানকার জমি কিনতে পারবেন না, যতক্ষন না তারা ওই গ্রামের আদব কায়দাকে গ্রহণ করছেন। অর্থাৎ ওই গ্রামে জমি কিনতে হলে অন্যান্য গ্রামবাসীর মতো নগ্ন হয়ে সেখানকার সামাজিক রীতি নীতিকে সমর্থন ও সম্মান করতে হবে। তবেই মিলবে স্পিলপ্লাজে থাকার অনুমতি।