বাহক নিউজ় ব্যুরো: তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ নির্বাচনে যেতেননি, কিন্তু, প্রথম সারির নেতা-নেত্রীদের মধ্যে একজন বলে পরিচিত। এদিকে, ত্রিপুরায় তাঁর গ্রেফতারের পরেই তোলপাড় হয়ে গেল রাজ্য জাতীয় রাজনীতি। একদিকে, তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে যে, তৃণমূল সাংসদরা দিল্লিতে পৌঁছে গেছেন অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর জন্য। অপরদিকে, এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করেই বিবৃতি জারি করা হয়েছে বামের তরফে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সপ্তাহের শুরুতেই ধর্ণায় বসতে পারে তৃণমূল নেতৃত্বরা।
এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই রাতের অন্ধকারেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ত্রিপুরায় পা রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, বিমান অবতরণের অনুমতি না পাওয়ার দরুন তাঁকে সোমবারের সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন যে, এই সমস্ত ঘটনার রচনা করা হয়েছে, শুধুমাত্র একটি কারণে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য। সুপ্রিম কোর্টের দরবারেও পৌঁছানোর কথা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা।
অপরদিকে, সায়নী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিবৃতি জারি করা হয়েছে বামেদের তরফে। এই বিবৃতি জারি হয়েছে ত্রিপুরার সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক রাখাল মজুমদারের তরফে। ত্রিপুরার রাজনৈতিক উত্তাপকে কেন্দ্রে করে এই বিবৃতিতে মূলত রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর তরফে ধিক্কার জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, তিনি দাবি করেছেন যে, ত্রিপুরায় ‘ফ্যাসিস্ট’ বিজেপির সন্ত্রাস ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এরপরে, তিনি সায়নী ঘোষের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ প্রথমে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপরে, তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা আরোপ করে তাঁকে গ্রেফতার করে। এইসবেরই মাঝে বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলা হয় থানায়”।