বাহক নিউজ় ব্যুরো: জ্যোতিষ মানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! থুড়ি জ্যোতিষ মানেন রাজনৈতিক নেতারা। মন্ত্রী থেকে সান্ত্রী, ডাক্তার থেকে ইঞ্জিনিয়র। তালিকায় বাকি নেই কেউ। রাজনৈতিক দলের অফিস থেকে প্রশাসনিক কেন্দ্রস্থল। সবটাই নাকি তৈরি করা হয়, টেবিল-চেয়ার রাখা হয় জ্যোতিষ, বাস্তু-বিশারদদের সঙ্গে কথা বলে। বিজ্ঞান এখানে ব্রাত্য। প্রশাসনে তার মুখ্য চাহিদা হলেও মনের বিশ্বাসে সে নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: সকালে ‘চাপ’, দুপুরেই ভোলবদল! কীসের ইঙ্গিত দিলেন অভিষেকের কুণাল ঘোষ
কেন ফের উঠল এই প্রসঙ্গ? বুধবার একটি অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২০২৪-এ বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে না। কেন, কীভাবে বলব না। এখন থেকেই জ্যোতিষীরা বলতে শুরু করেছেন।’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘বিজেপির দিল্লির পার্টি অফিসও তো এসব (জ্যোতিষ) ভেবে!’ সাম্প্রতিককালে পার্থর হাতের গুচ্ছ গুচ্ছ সুতো থেকে বিজেপি নেতা স্মৃতি ইরানির টিপ, মিটিং-মিছিলে যাওয়ার আগে নেতাদের নানান উপাচার সর্বজন বিদিত হলেও নেতা আর জ্যোতিষী, দিনের পর দিন জড়িয়ে যাচ্ছে অঙ্গাঙ্গিভাবে। কান পাতলেই শোনা যায়, রাজ্যের মুখ্য প্রশাসনিক দফতর মহাকরণ থেকে নবান্নের ভাড়া বাড়িতে যাওয়ার পিছনে অথবা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যজ্ঞ অথবা শপথের, মনোনয়নের দিনক্ষণ ঘোষণা, সবটাই নাকি জ্যোতিষ বিদ্যার ঠিক করা! এমনকি কংগ্রেস, বিজেপি অথবা দেশের অধিকাংশ দলেই এই রীতি, নীতির সঙ্গে নাকি জড়িয়ে আছে নিরন্তর।
অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলেন, আল্লাহ্ অথবা ভগবান, নবী অথবা যিশু, রাজনীতিতে, পাপ-পুণ্যের ধারক বাহক হলেও তার সঙ্গেই যে জ্যোতিষী বাবাদের আগমন হয়েছে, তা বোঝা যায়নি আগে। কিন্তু শুধুই কি রাজনীতি? গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে তো জ্যোতিষ পন্থার ছড়াছড়ি। কুমার শানু থেকে জিৎ গাঙ্গুলি। প্রত্যেকের আঙুলজুড়ে রঙ-বেরঙের আংটি।পাথর। আবার বলিউডের অভিনেতা, অভিনেত্রী অনেকেই নাকি বাড়ি তৈরিতে ইঞ্জিনিয়রের চেয়ে বাস্তুবিদের ভরসা করেন বেশি! পঞ্জিকা হোক অথবা রাশিফল, মানুষ কী রায় দেবেন তার চেয়ে আগেই উল্লেখ থাকে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবেন কারা! স্বাভাবিকভাবেই আভাসে মিলে যায় সবটা। দুইয়ে দুইয়ে চার হতে সময় লাগে না। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে এখানেই, উন্নয়ন আর মানুষের জন্য রাজনীতি, সরকার, বিরোধী হলেও আসলে সেটাতেই ওঁদের ভরসা আছে তো!