বাহক নিউজ় ব্যুরো: মুকুটমণিপুর কংসাবতী সেচ দফতর থেকে ৩০হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তিনদিন ধরে একটানা অবিরাম বৃষ্টির পর এভাবেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কংসাবতী নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা এখন জলের তলায়।
বাঁকুড়া বাইপাস,শ্রোতিঘাট, জুনবেদিয়া সহ বিভিন্ন অঞ্চল এই মুহূর্তে জলের তলায়। বাঁকুড়া শহরের ১৭, ১৯,২০ ৯ ২৩ নম্বর ওয়ার্ড জলমগ্ন। এই ওয়ার্ডগুলোর বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। মেজিয়া, শালতোড়া, ইঁদপুর, হিড়বাঁধ, সোনামুখী সহ বাঁকুড়া জেলার প্রায় সব কটি ব্লকই কম-বেশি জলমগ্ন।

এতটা বৃষ্টি আগে কোনোদিন দেখেনি বাঁকুড়ার বাসিন্দারা। জলমগ্ন এলাকার মানুষ প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে লড়াই করছে। বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার জানান, “জলমগ্ন গ্রামগুলি থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। তবে নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।” প্রশাসন জানিয়েছে তারা উদ্ধার কাজে তৎপর। বাঁকুড়া জেলার প্রায় ২৫ হাজার জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২, ১৫১টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত । ৭৪টি ত্রাণ শিবির চালু করে ৯,২২৮ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য কংসাবতীর সেচ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার গৌরব ভৌমিকের গলায় অন্য সুর শোনা গিয়েছে। তিনি জানান, “কংসাবতীতে জল ছাড়ার জন্য বাঁকুড়ায় কোথাও প্লাবনের আশঙ্কা নেই। তবে ঘাটালের কিছু গ্রামে প্লাবনের আশঙ্কা থাকায় আমরা কম পরিমাণে জল ছাড়ছি।’’
Published on Friday, 1 October 2021, 5:58 pm | Last Updated on Friday, 1 October 2021, 5:59 pm by Bahok Desk









