আজ ইমোজি ডে। ২০১৪ সাল থেকে প্রত্যেক বছর জুলাই মাসের ১৭ তারিখে এই ইমোজি ডে পালন করা হয়।
সময়ের সাথে সাথে আমরা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে বেশী স্বচ্ছন্দ হয়েছি। আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতাম।এখন তা হয়েছে চ্যাটের মাধ্যমে। আর তাতেই যুক্ত হয়েছে এই ইমোজি। আনন্দ, ভালবাসা, রাগ, দুঃখ, অভিমান সবই বোঝানো যায় এই ইমোজিতে। ইমোজি মানে মূলত কোনও অভিব্যক্তির প্রতিকৃতি। যা কি বোর্ডের অক্ষরের সাথে দেওয়া থাকে। এছাড়াও গুগল প্লে স্টোরে বিভিন্ন এপ্লিকেশনেও পাওয়া যায় এই ইমোজি।
প্রথম ইমোজি আবিস্কার করেন শিগেতিকা কুরিতা নামে এক জাপানি ইঞ্জিনিয়ার ১৯৯৯ সালে একটি জাপানিজ কোম্পানির জন্য। তিনি ১৭৬ টি ইমোজি তৈরি করেন ঐ মোবাইল কোম্পানির জন্য। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি উন্নত হয়, উন্নত হয় ইমোজির ধরনও। মানুষ পছন্দ করতে শুরু করে এই ইমোজি। ২০১০ সালে ইউনিকোড আরও যথার্থ করে তোলে এই ইমোজিকে। এর পরেই মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুক এর মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গুলি এই ইমোজির ব্যবহার শুরু করে নিজস্ব সাইটে। বর্তমানে প্রায় ৯০০ এর বেশী ইমোজি আছে ইমোজিপিডিয়াতে। ২০১৪ সালে ইমোজিপিডিয়ার স্রষ্টা জেরেমি বার্গ ঘোষনা করেন প্রত্যেক বছর ১৭ই জুলাই ইমোজি ডে হিসাবে পালন করার। তারপর থেকেই এই নির্দিষ্ট দিনে ইমোজি ডে হিসেবে পালন করেন নেটাগরিকরা।
ইমোজি খুব সহজে অনুভূতি আদানপ্রদান করলেও বিশেষজ্ঞদের মতে এই ইমোজি মানুষের অনুভূতিকে হাল্কা করে দেয়। কারুর খারাপ লাগলে সেটা ইমোজিতে পাঠালেও সবাই হাল্কা ভাবেই নেয়। যদিও ইমোজিপ্রেমীরা এ কথা মানতে নারাজ। তাদের কথায় ইমোজি দেখেই বোঝা যায়, কে কেমন আছে। এখন এটাই দেখার, এই ইমোজির ভবিষ্যত কি!? হ্যাপি ওয়র্ল্ড ইমোজি ডে!!
Published on Saturday, 17 July 2021, 11:23 am | Last Updated on Saturday, 17 July 2021, 11:32 am by Bahok Desk









