ভ্যানের ধাক্কায় আহত ৩ নাবালক, ট্রাক ও বাইকের সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ২ জন।
বর্তমানে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর পরিমাণ অত্যাধিক হারে বেড়ে চলেছে। শহর ও গ্রামে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও পথ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। গাড়ির গতি বাড়িয়ে সবার আগে যাওয়ার প্রবণতাই এই দুর্ঘটনার হার বাড়িয়ে তুলছে। আবার কোথাও হচ্ছে রাস্তার বেহাল দশার কারণে। কোথাও নাবালকেরা আহত হচ্ছে আবার কোথাও নিষ্পাপ আরোহীরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে আসানসোলের বারাবনীতে ও জামুড়িয়ায়।
চলতি সপ্তাহে শুক্রবারে অর্থাৎ ১৬ই জুলাই তারিখে আসানসোলের বারাবনীতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ৩ নাবালক। উল্লেখ্য, স্থানীয়রা এই ঘটনার জন্য রাস্তার বেহাল দশাকেও দায়ী করেছেন। এদিকে, ওই পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুযায়ী জানতে পারা গেছে যে, ৩ নাবালক রাস্তা পেরতে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই রাস্তায় আসা এক পিকআপ ভ্যান ধাক্কা মারে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে চুরুলিয়া, দোমোহানী ও পানুরিয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। খবর পাওয়া মাত্রই বারাবনী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য পুলিশ পৌঁছানোর পরেও বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীরা রাস্তা থেকে সরতে চাইছিল না। পরে পঞ্চায়েত প্রধান সন্তোষ সিং-এর আশ্বাসে তাঁরা বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। তিনি আশ্বাস দেন যে, দু-তিন দিনের রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হবে এবং বর্ষা পেরনোর পরেই তাঁরা নতুন করে তৈরি করাবেন। উল্লেখ্য, তাঁরা প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে রাস্তা অবরোধ করেছিল এবং কারণে ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, আহত ৩ জনকে আপাতত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে, জামুড়িয়ায় ট্রাক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ৩ যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে, জামুড়িয়া থানার কেন্দা ফাঁড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে ৬০ নং জাতীয় সড়কে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই মৃত যুবকের নাম শেখ করিবুল এবং শেখ আরিবুল। জানা গেছে দুজনেই বীরভূমের বাসিন্দা। স্থানীয় বিবরণ অনুযায়ী জানতে পারা গেছে যে, একটি ট্রাক হঠাৎই অতিরিক্ত গতির কারণে বাইকে গিয়ে ধাক্কা মারে এবং ঘটনাস্থলেই দুই বাইক আরোহী মারা যান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতদেহ দুটিকে আপাতত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।