কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে হলেন আসানসোলের এক বিদ্যুৎকর্মী, অবস্থা গুরুতর।
কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হলেন আসানসোলের এক বিদ্যুৎকর্মী। জানা গেছে যে, তিনি পেশায় অস্থায়ী বিদ্যুৎকর্মী। উক্ত ব্যক্তি তথা নীলকন্ঠ ধীবর আসানসোলের জামুড়িয়ার বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরূপেই এদিন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎই কাজ করার সময়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং গুরুতরভাবে আহত হয়ে যান। জানা গেছে, বর্তমানে আসানসোল জেলা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি আসানসোলের জামুড়িয়ার চিচুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চিচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, উক্ত বিদ্যুৎকর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নীচে পড়তেই স্থানীয়রা প্রথমে চিকিৎসার জন্য তাঁকে বাহাদুরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। কিন্ত, নীলকণ্ঠ ধীবরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে দেখে তাঁকে অবশেষে আসানসোলের জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন।
এ প্রসঙ্গে, কাঞ্চন মণ্ডল নামক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান যে, তাঁর দোকানের মেন লাইনে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ দফতরের টোল ফ্রী নম্বরে কল করেছিলেন। এই কলের ভিত্তিতেই লাইন মেরামতির জন্য বিদ্যুৎ দফতরের তরফে দুই কর্মী আসেন এবং সারাইয়ের কাজ শুরু করে দেয়। এরই মাঝে ১১ হাজার ভোল্টের তারের সঙ্গে জিআই-এর তাঁর সংস্পর্শে চলে আসায় উক্ত বিদ্যুৎকর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং তৎক্ষণাৎ মাটিতে পড়ে যান। এ প্রসঙ্গে কাঞ্চন মণ্ডল আরও জানান যে, ওই দুর্ঘটনা ঘটার পর তাঁরা বিদ্যুৎ দফতরে ফোনও করছিলেন। কিন্তু, বিদ্যুৎ দফতরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া না দেওয়ায় তাঁরা নিজেরাই আহত বিদ্যুৎকর্মীকে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।
অপরদিকে, নীলকণ্ঠ ধীবরের সঙ্গী তথা আরেক বিদ্যুৎকর্মী বাবুল গোপ জানান যে, তাঁরা দুজনেই আসানসোল বিদ্যুৎ দফতরের অধীনে অস্থায়ীকর্মীরূপে মোবাইল সার্ভিস ভ্যানে কাজ করেন। এহেন, তিনিই দাবি করেন যে, বিদ্যুতের তার লাগানোর সময়ে ১১ হাজার ভোল্টের তারের সঙ্গে জিআই-এর তারের সংযোগ হয়ে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং নীলকণ্ঠ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন।