Table of Contents
Bahok News Bureau: তখনও রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বেঁচে ছিলেন। এটা বেশ এক বছর আগের কথা, ফাঁস হয়ে যায় রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেলে কীভাবে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে (What Happens After Queen Elizabeth’s Death)। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই বেশ শোরগোল পড়ে যায় বিশ্বজুড়ে। তবে, জানেন কী? তাঁর শেষকৃত্যেরও একটি বিশেষ নাম রয়েছে। যা শুনে আদৌ অনুমান করা যাবে না যে, ওটাও শেষকৃত্যের নাম হতে পারে! হ্যাঁ, বেশ রহস্যময়ীই নাম রয়েছে সমগ্র পদ্ধতি সংরক্ষণকারী ফাইলটি। আসুন দেখে নেওয়া যাক কী সেই পদ্ধতি…
অপারেশন লন্ডন ব্রিজ (Operation London Bridge)
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু পরবর্তী কর্মযজ্ঞের (Queen Elizabeth Funeral) একটি গালভরা নাম রয়েছে। সেই নামটি হল “অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’ (Operation London Bridge)। যা সারা বিশ্বজুড়ে আবার ‘ডি-ডে’ (D-Day) নামেও পরিচিত থাকবে। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণ পরবর্তী কর্মযজ্ঞে বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। যা একে একে পালন করা হবে। তাঁর সৎকার থেকে শুরু করে শোক পালনের দিনসংখ্যা, সবই আলোচিত হয়েছে ও উল্লেখ করা হয়েছে প্রকাশিত বিশেষ নথিতে।
ঠিক কী কী করা হবে ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজে’?
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ (queen elizabeth II) হলেন এমন রানী যিনি ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি পাতার সাক্ষী থেকেছেন তথা সবচেয়ে বেশি দিন মসনদ নিজের দখলে রেখে ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকতেও খবরের চর্চায় ছিলেন, আবার প্রয়াত হওয়ার পরেও থাকছেন শিরোনাম জুড়ে। এই অবস্থায়, তাঁর মৃত্যু পরবর্তী কর্মযজ্ঞের পদ্ধতিও মানুষের কৌতূহলের বিষয়। কারণ, এই সমস্ত কাজ মোটেই একদিনে শেষ হবে না, বরং চলবে বেশ কয়েকদিন ধরে। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যুর পরেই রানী দ্বিতীয় এলিজবেথের দেহ সমাধিস্থ করা হবে না। এর পরিবর্তে তাঁর দেহ ১০ দিন যাবৎ সংরক্ষণ করা হবে। এর মাঝে মসনদের অন্যতম দাবিদার প্রিন্স চার্লস (Prince Charles) পুরো ব্রিটেনের সফরে বেরোবেন।
আরও পড়ুন: Who founded Digha? : ‘দীঘা’র প্রতিষ্ঠাতা কে?, দীঘার কথা ইতিহাসের পাতায়- প্রথম পর্ব
এখানেই শেষ নয়। ওই ১০ দিনের মাঝে তিন দিন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃতদেহ পার্লামেন্টের (Parliament) দুটি হাউসে রাখা হবে। এইসবের মাঝে আবার রানীর শেষ দেখা যাতে সাধারণ মানুষ পান, সেই ব্যবস্থাও করা হবে। এছাড়াও, একদিকে যেমন দেশজুড়ে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা রুখতে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। তেমনই অপরদিকে, ব্রিটেনের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার এবং রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দিনটিকে শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার দিনটিকে বিশেষরূপে ‘রাষ্ট্রীয় শোক হিসাবেও পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, এই বিশেষ পদ্ধতি তখন জনসমক্ষে ফাঁস হয়েছিল, যখন তিনি বেঁচে ছিলেন। সেই সময়ে তাঁর বয়স ৯৫ বছর ছিল এবং শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন তথা তাঁর শরীরে স্বাস্থ্যজনিত কোনো জটিলতা ছিল না। আর সেই জন্যেই তখন এই পদ্ধতি নিয়ে বেশি আলোচনা করতে আগ্রহ দেখায়নি ব্রিটেন। মূলত “পলিটিকো” নামক একটি মার্কিন সংবাদপত্রে সৌজন্যে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণ পরবর্তী পদ্ধতির তথ্য প্রকাশ্যে আসে। যদিও, সম্পূর্ণ প্রকাশিত তথ্যই বাকিংহাম প্যালেসের তরফে অস্বীকার করে দেওয়া হয়।