
Table of Contents
Bahok News Bureau : শীতকালে অনেক মানুষের মন অবসাদে (Winter Depression) ভোগে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই অবসাদের কারণ হল সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার (Seasonal Affective Disorder)। জা সংক্ষেপে স্যাড নামেও পরিচিত। কী এই স্যাড (SAD) ? এর থেকে মুক্তির পাওয়ার উপায়ই কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক এর সম্পর্কে। (Winter Depression)
শীতকালে সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার হওয়ার সম্ভাব্য বৈজ্ঞানিক কারণ : (Possible Reason behind Seasonal Affective Disorder)
শীতের সময়ে মন অবসাদে (Depression) ভোগলে তাকে বলে সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার (Seasonal Affective Disorder) বা SAD। এক্ষেত্রে প্রতি বছর শীতকালের সময়েই এই সমস্যা দেখা যায়। তবে শুধু শীত নয়, বছরের যে কোনও ঋতুতে এই সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা সম্পর্কে কলকাতার পাভলভ হাসপাতালের বিশিষ্ট সাইকিয়াট্রিস্ট ডা: শর্মিলা সরকার বলেন, ঋতুর (Season) সঙ্গে এই অবসাদের যোগ রয়েছে। তাই এই অবসাদের নামকরণ করা হয়েছে স্যাড (SAD)। তবে আমাদের দেশে এই সমস্যা খুব বেশি দেখা যায় না বলেই তাঁর মত। তিনি বলেন, ভারত বা আমাদের রাজ্যে এই সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যা কম। এক্ষেত্রে বিদেশে, বিশেষত ইউরোপের দেশগুলিতে এই সমস্যা খুব দেখা যায়। ভারতে শীতের সময় এই সমস্যা বেশি হয়।

সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডারের লক্ষণ কী কী? (Symptoms of Seasonal Affective Disorder)
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাদের অবসাদ পূর্বে রয়েছে তারাই এই সমস্যায় বেশি পড়েন। তবে কিছু মানুষের গোটা বছর কোনও সমস্যা থাকে না। শুধু শীত পড়লেই সমস্যা বাড়ে। এক্ষেত্রে শীতের প্রথমদিকে শুরু হয় সমস্যা। শীত বাড়তে থাকলে সমস্যাও জটিল হতে থাকে। এক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে এই লক্ষণগুলি-
• প্রতিদিনই মন ভালো থাকে না।
• এক সময়ে যেই কাজে আনন্দ পাওয়া যেত শীতে আর পাওয়া যায় না।
• কোনও কাজে এনার্জি থাকে না।
• সারাদিন ঘুম পায়। বেশিক্ষণ ঘুম হয়।
• কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হলে ওজন বৃদ্ধি হয় দ্রুত।
• কোন কাজে মনোযোগ বসানো সম্ভব হয় না।
• মন মেজাজ ভালো থাকে না। পারিপার্শ্বিক মানুষদের সামনে অকারণে মেজাজ হারানো।
• বেঁচে থাকার ইচ্ছা থাকে না ইত্যাদি।
কেন সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার হয়?
এই প্রসঙ্গে ডা: সরকার বলেন, আসলে সূর্যের আলোর (Sun Rays) সঙ্গে আমাদের মন ভালো থাকার একটা যোগ রয়েছে। শীতে সূর্যের তেজ কমে। এই অবস্থা মনেও আঘাত আনে। এই কারণেই মূলত মানুষ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার কাদের বেশি হয়?
সব মানুষই এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। তবে যারা ইতিমধ্যেই এই অবসাদে ভুগছেন তারাই এই সমস্যায় বেশি পড়েন। এছাড়া বাইপোলার ডিজঅর্ডার (Bipolar Disorder) থাকা মানুষজনও এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন।
সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডারের সমাধান কী?
এই রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে ডা: সরকার বলেন, এক্ষেত্রে অ্যান্টিডিপ্রেশন্ট বিভিন্ন ওষুধ দিতে হয়। এই ওষুধেই কাজ হয়। এছাড়া লাইট থেরাপি বলে একটি চিকিৎসাপদ্ধতি রয়েছে। এই থেরাপিও দারুণ কাজ করে। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। অনায়াসে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।.
পড়ুন: বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
পড়ুন: বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন ১৪২৯
PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন – বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
ঈদ সংখ্যা কেমন লাগলো, ফেসবুক পেজ ছাড়াও নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আপনার নাম দিয়ে মতামত দিতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের পূর্বে প্রকাশিত কিছু সংখ্যা সমূহের Pdf নিচে দেওয়া হল।
[PDF] বাহক শারদীয়া সংখ্যা (১৪২৮)
[PDF] বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন (১৪২৯)
Published on Saturday, 23 December 2023, 3:04 pm | Last Updated on Saturday, 23 December 2023, 3:04 pm by Bahok Desk








