বাহক নিউজ় ব্যুরো : আফগানিস্থানে এখন তালিবানি উল্লাস। কার্ফুর মধ্যেই ভীত দিশাহীন আমজনতা উদ্ভ্রান্তের মত ছুটছে বিমানবন্দরে, চাইছেন পালিয়ে বাঁচতে।কিন্তু যাঁদের ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল না? কী অপেক্ষা করছে তাঁদের ভবিষ্যৎ-এ? এই মধ্যযুগীয় বর্বরতায় নয়া সংযোজন তালিবানীদের নৃশংস ফতোয়া।
স্বামী বা কোনো আত্মীয়ের সাথে ছাড়া একাকী বাইরে যেতে পারবেন না মহিলারা।
রাস্তায় বেরোনোর সময় হিজাব, বোরখা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমনকী বারান্দায় বেরোনো পর্যন্ত মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ, এসবকিছুর অন্যথা হলেই মৃতুদণ্ড। অমুসলমান ও নাস্তিকদের হত্যার নির্দেশ জারি করেছেন তালিবান শাসক।
এখানেই শেষ নয়, নয়া ঘোষনায় সংবাদপত্র, বই, টেলিভিশন, দোকান কিংবা বাড়িতে নিষিদ্ধ মহিলাদের ছবি৷ ক্যামেরায় আর মুখ দেখাতে পারবেনা কোনো আফগানী মহিলা৷ ইতিমধ্যেই কাবুলের দখলকারীরা ঘোষনা করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলাদের নামে নামাঙ্কিত স্থানের নাম বদলের। ফতোয়ায় কোনো প্রকাশ্য জমায়েতেও অংশগ্রহণ করার অনুমতি মেলেনি আফগানি মহিলাদের। মহিলাদের থাকতে হবে দাসীর মত, স্বামীর আজ্ঞাবহ হিসেবে। অন্যথা হ’লেই কঠিন সাজা মিলবে তালিবান রাজত্বে৷ মহিলাদের সমস্তপ্রকার চাকরিও নিষিদ্ধ করেছে নয়া শাসক৷ অর্থাৎ, কাবুলে, আমৃত্যু কার্যত গৃহবন্দী কাটাতে হবে সমস্ত মহিলাদের৷
সুত্রের খবর, বোরখা পরা পরা সত্বেও মুখ দেখা গিয়েছিল বলে, গুলি করা হত্যা করা হয়েছে এক আফগানী মহিলাকে৷
মধ্যযুগীয় বর্বর এই পুরুষতান্ত্রিক ফতোয়া জারির পরেই সারা বিশ্বে কার্যত নিন্দার ঝড় উঠেছে। আফগানিস্থানের এই বৈষম্যমূলক তালিবানী বর্বরতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে খোদ জাতিসংঘ। দেশের নির্নায়ক শক্তি হয়ে ওঠা তালিবানদের এহেন ফতোয়ায় বিদ্ধস্ত জনজীবন৷ এখন শাসকের নির্মম রক্তচক্ষুর সামনে প্রাণ ও অস্তিত্বটুকু টিকিয়ে রাখাই যেন বড় বালাই হয়ে উঠেছে এদেশের মহিলা ও শিশুদের৷