
Table of Contents
Bahok News Bureau: ভারতের বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে (UP) হালাল ট্যাগযুক্ত সব ধরনের পণ্য তথা হালাল সনদযুক্ত পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৮ই নভেম্বর এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, রাজ্যের সর্বত্র হালাল ট্যাগ লাগানো খাদ্যপণ্যের উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ এবং বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ (Yogi Government- Halal Products)। হালাল শংসাপত্র (Halal Certificate) সমেত যে সব ঔষধি এবং প্রসাধনী বিক্রি হয়, সেগুলোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
হালাল সার্টিফিকেট কি? (What is Halal Certificate?)
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, আগে নন-ভেজ পণ্যের জন্য হালাল শংসাপত্র (Halal Certificate) ছিল। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত, হালাল সার্টিফিকেট শুধুমাত্র মাংস পণ্যের জন্য প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু পরে এটি বিউটি প্রোডাক্ট এবং ওষুধ ইত্যাদিতেও প্রয়োগ করা শুরু করে। হালাল মানে ইসলামী আইনে তৈরি পণ্য। এককথায়, বর্তমানে কোনো পণ্যে ‘হালাল’ লেখা থাকার অর্থ মোটেই মাংস বা মাংস সংক্রান্ত জিনিস নয়। এর অর্থ সেই জিনিসটি ইসলামিক আইন অনুযায়ী পরীক্ষিত ও বৈধ।
হালাল সার্টিফিকেট কে দেয়? (Who approves Halal Certificate?)
ইসলামী দেশগুলোতে ইসলামী সংগঠনগুলো হালাল সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। প্রায় ১২টি কোম্পানি ভারতে সার্টিফিকেট প্রদান করে। সার্টিফিকেশন ইসলামিক আইন অনুযায়ী করা হয়। ভারতে সার্টিফিকেশন প্রদানকারী সংস্থাগুলি হল হালাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, হালাল সার্টিফিকেশন সার্ভিসেস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ এবং জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ হালাল ট্রাস্ট।
হালাল সার্টিফিকেশনের প্রয়োজন কি? (Why Halal Certificate is needed?)
পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের পর ইসলামী দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি সহজ হয়ে যায়। অনেক ইসলামিক দেশে শুধুমাত্র হালাল পণ্য অনুমোদিত। বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাজারের প্রায় ১৯ শতাংশ হালাল পণ্য।
নিষিদ্ধকরণ এর কারণ হিসেবে?
রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে ভুয়া নথি দেখিয়ে হালাল ট্যাগযুক্ত পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের পর ১৭ই নভেম্বর এই মর্মে রাজ্যের একাধিক হালাল সার্টিফিকেট প্রদানকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। সেই এফআইআরের একদিন পরই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। যোগী প্রশাসনের নির্দেশিকায় এই নিষেধাজ্ঞার কারণ (Yogi Government- Halal Products) হিসাবে বলা হয়েছে, খাবার সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে হালাল একটি ভিন্ন পদ্ধতি হওয়ায় খাবারের গুণমান নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, যা খাদ্য সুরক্ষা আইনের ৮৯ ধারা অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়। খাবারের গুণমান নির্ধারণ করার অধিকার কেবল কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। তবে, রাজ্যের বাইরে হালাল ট্যাগ বসানো খাদ্যসামগ্রী এবং পণ্যের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। শুধুমাত্র রাজ্যের মধ্যে উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা বসানো হয়েছে।
কী অভিযোগ উঠেছে?
হালাল ট্যাগ বসানো খাবার নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু অভিযোগ সামনে আসে উত্তরপ্রদেশে (Yogi Government- Halal Products)। একটি হালাল খাদ্য উৎপাদনকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, হালাল খাবার বলে মানুষের ধর্মভাবনার সঙ্গে ছিনিমিনি খেলছে। হালাল বলে দাবি করে ভুয়ো ট্যাগ বসিয়ে খারাপ খাদ্যপণ্য বিক্রি করছে তারা। হালাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড চেন্নাই, জামিয়ত উলামা-ই-হিন্দ হালাল ট্রাস্ট দিল্লি, হালাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া মুম্বই, জামিয়ত উলামা মহারাষ্ট্র এবং আরও বেশ কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগও জমা পড়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেশ কিছু সংস্থা।
হালাল ট্যাগযুক্ত পণ্য নিয়ে যোগী সরকারের ঘোষণা:
উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে হালাল খাবার উৎপাদন, সংগ্রহ বা সংরক্ষণ, বন্টন ও বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলো (Yogi Government- Halal Products)। অবিলম্বে এই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। তবে রফতানির জন্য যে হালাল খাবার উৎপাদন করা হতো, তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না। যদি কেউ হালাল খাদ্যপণ্য উৎপাদন বা বিক্রি করেন এবং হালাল সার্টিফায়েড ওষুধ, মেডিকেল ডিভাইস বা কসমেটিক্স বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তবে ওই ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: Bongaon: প্রতারণার ফাঁদে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক! ঠিক কী ঘটেছিল?
পড়ুন: বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
পড়ুন: বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন ১৪২৯
PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন – বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
ঈদ সংখ্যা কেমন লাগলো, ফেসবুক পেজ ছাড়াও নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আপনার নাম দিয়ে মতামত দিতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের পূর্বে প্রকাশিত কিছু সংখ্যা সমূহের Pdf নিচে দেওয়া হল।