বাহক নিউজ় ব্যুরো: ফুচকার প্রতি প্রেম নেই বাংলায় এমন মানুষ বিরল। ফুচকার সেই সুগন্ধী, ফুচকার সেই স্বাদ মনে পড়লেই, মুখে বয়ে যায় জলের স্রোত। সুস্বাদু ফুচকা মুখে গেলে যেন আলাদাই জগতে পৌঁছে যায় যায় এই পার্থিব শরীর। তবে, অনেকেই ফুচকার বিরোধিতা করে কিছুজন তোলেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় প্রশ্ন। আবার, অনেকেই দেহের ওজন বৃদ্ধির নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন।
তবে, এবার এনেছি এমনসব তথ্য, যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। জেনে রাখুন, আপনি আলু, মশলা ও টক জল সহযোগে যে ফুচকা খান, সেই ফুচকা অত্যন্ত উপকারী আপনার শরীরের জন্য। এমনকি, নানান রোগও উধাও হয়ে যাবে এই টক জলের সহায়তায়।
- ফুচকার জলে ব্যবহৃত বিভিন্ন মশলাপাতির সৌজন্যে নিমেষেই অম্বলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কারণ, মশলারূপে ব্যবহৃত বিট নুন, পাতিলেবু, ধনেগুঁড়ো, ধনেপাতা, কাঁচা লঙ্কা প্রভৃতি, যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- অনেকে হয়তো ভাবেন যে, ফুচকা খেলে ওজন বাড়ে। জেনে রাখবেন, এটা একদমই ভ্রান্ত ধারণা। কারণ, ফুচকার কারণে মেদ ঝরে। উল্লেখ্য, ফুচকার টক জলে পুরোনো তেঁতুল, পাতিলেবুর রস থাকে। এইগুলো মেদ ঝরাতে খুবই কার্যকরী।
- তেঁতুল বীজে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক শক্তি। আর তাই, ফুচকার তেঁতুল জল পান করলে পাবেন ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি।
- আবার, তেঁতুল জল পরিমিত মাপে খেলে তা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটার হিসাবে কাজ করবে আপনার শরীরে। কারণ, তেঁতুল টারটারিক অ্যাসিড থাকে। আর এই টারটারিক অ্যাসিড একদিকে যেমন ক্ষুদ্রান্তকেও সুস্থ রাখে। অপরদিকে, তেমনই গ্লুকোজের টলারেন্স লেভেল বাড়িয়ে দেয়।
তবে, একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, কোন খাদ্যই অতিরিক্ত গ্রহণ করা উচিত নয়। উল্লেখ্য, আপনি যদি ফুচকা অতিরিক্ত খান তাহলে আপনার বমি লাগতে পারে, অতিরিক্ত তৃষ্ণা লাগতে পারে, এমনকি পেটে ব্যথাও হতে পারে। আর তাই, পরিমিতরূপে এবং পরিচ্ছন্ন ফুচকার দোকানে ফুচকা খান। উল্লেখ্য, খোলা আকাশের নীচে ফুচকার দোকানে যদি পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থা না পান, তাহলে বাড়িতে বানিয়েও খেতে পারেন সুস্বাদু ফুচকা।