Can India Refuse Hasina Extradition, India News, Bangladesh News, Sheikh Hasina News, ভারত নিউজ, বাংলাদেশ নিউজ, শেখ হাসিনা নিউজ

Can India Refuse Hasina Extradition: শেখ হাসিনা নিজেই তাঁর প্রত্যর্পণের ঘটনাকে বিচারবিভাগীয় প্রহসন বলেছেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT) তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখন ভারতে রয়েছেন। বাংলাদেশ তাঁর প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছে কিন্তু এখন একটাই প্রশ্ন উঠছে যে বিদ্যমান চুক্তি এবং ভারতীয় আইন কি আইনত এই নির্দেশকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

গতকাল ভারত জানিয়ে দিয়েছে যে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ আইনি ও বিচারবিভাগীয়। আর এরজন্য দুই দেশের সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পৃক্ততার প্রয়োজন। এটি নিয়ে বিদেশ সচিব বলেন,“আমরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”

Advertisements
Appy Family Salon AD Banner Use Code to get Discount

২০২৪ সালের বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা করার জন্য শেখ হাসিনা ও তাঁর প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এরপর থেকেই ঢাকায় নিরাপত্তা আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরজন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ সরকার। অন্যদিকে আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে প্রত্যর্পণ চুক্তি সাধারণত পারস্পরিক বিশ্বাস এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে সম্মান করা জরুরি। কিন্তু এটি দুই দেশকেই সমান বিচার-বিবেচনা করার অধিকার দেয় ।

যদি এটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা অন্যায্য হয়। এদিকে ভারতের ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইন বলছে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে প্রত্যর্পণ অস্বীকার করার, মামলা স্থগিত করার বা প্রার্থিত ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কেন্দ্র সরকারের কাছে। সেই আইনের ২৯ ধারায় লেখা রয়েছে ভারত কখন প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।তবে ভারত সরকার তখনই প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে যখন সেটি তুচ্ছ হয় অর্থাৎ সহজে বিশ্বাস করা না যায়। এছাড়া যদি অনুরোধটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রত্যর্পণ ন্যায়বিচারের স্বার্থে না হয়। এই আইনটি কেন্দ্র সরকারকে যেকোনো সময়ে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা, পরোয়ানা বাতিল করা অথবা অভিযুক্তকে ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করে।

এদিকে ধারা ৩১ বলছে একজন পলাতক ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না যখন সেটি রাজনৈতিক অভিযোগ হয় অর্থাৎ যখন অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করে দিতে পারে যে রাজনৈতিক অপরাধের জন্য তাদের বিচার/শাস্তির অনুরোধ করা হয়েছে। অনুরোধকারী রাষ্ট্রের আইনের অধীনে মামলা দায়ের করতে পারবে। যদিও এটি সম্পর্কহীন অপরাধের জন্য মামলা থেকে সুরক্ষা দেয়না।ধারা ৩১(সি) প্রত্যর্পণ নিষিদ্ধ করে যদি না চুক্তিতে নিশ্চিত করা হয় যে অভিযুক্তকে নীচে দেওয়া কারণগুলোর জন্য বিচার করা হবে- প্রত্যর্পণ অপরাধ – একই ঘটনা থেকে উদ্ভূত হওয়া যেকোনো ছোট অপরাধ,এছাড়া অন্য আরেকটি অপরাধ যার জন্য ভারত সম্মতি দেয়।

ভারত ও বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি কী বলছে?

ধারা ৬ বলছে যদি রাজনৈতিক অপরাধ দণ্ডরাজনৈতিক অপরাধ হয় তাহলে প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করা যায়। চুক্তিতে বলা হয়েছে খুন, সন্ত্রাসবাদ, বিস্ফোরণ, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ম লঙ্ঘন, অপহরণ, গুরুতর আক্রমণ এবং বহুপাক্ষিক অপরাধগুলোকে রাজনৈতিক অপরাধ হিসেবে ধরা যাবেনা। বাংলাদেশের অনুরোধে যেকোনো মূল্যায়নে এই ধারাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।ধারা ৭-এ ভারত এর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।যদি ভারত সেই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার করতে চায় তাহলে ভারত প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।

যদি এই মামলা অভ্যন্তরীণভাবে পরিচালন করা সম্ভব না হয় তাহলে সেই অনুরোধ আবারো বিবেচনা করা হবে। এদিকে ধারা ৮ বলছে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করতে পারেন প্রত্যর্পণটি অন্যায় বা নিপীড়নমূলক’প্রত্যর্পণ তাহলে সেটি প্রত্যাখ্যান করা যাবে। যেহেতু অভিযোগটিতে পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সততার অভাব রয়েছে তাই এটি তুচ্ছ হয়ে যাবে। যদি অপরাধটি সামরিক প্রকৃতির হয় তাহলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও শাস্তি দেওয়া হবে না। অনুচ্ছেদ ২১ বলছে এখানে জাতিসংঘ ICJ কোনো প্রকারের হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা।

এছাড়া ২১ অনুচ্ছেদে এটিও লেখা রয়েছে যে কোনো দেশ ছয় মাসের নোটিশে এই চুক্তিটি বাতিল করে দিতে পারে। এখন ভারত প্রত্যর্পণ আইন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিধান এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, যথাযথ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত উদ্বেগ, অন্যায্য বিচারের দাবি ভালো করে খতিয়ে দেখছে। বিদেশ মন্ত্রকের সচিব জানিয়েছেন এখন এই বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

read more

Published on Tuesday, 18 November 2025, 6:13 pm | Last Updated on Tuesday, 18 November 2025, 6:13 pm by Bahok Desk