Table of Contents
Judicial Officers Constitution Day Wedding: সংবিধান দিবসে জেলা কালেক্টরের কার্যালয়ে এক অনন্য এবং অনুপ্রেরণামূলক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বনসুরের গুন্টা শাহপুর গ্রামের বাসিন্দা হেমন্ত মেহরা এবং হনুমানগড়ের বাসিন্দা কারিনা কালা, উভয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা কোনোরকম যৌতুক ও অপচয় ছাড়াই সংবিধানকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেছেন, যা সমাজকে একটি বার্তা দিয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত।
সাদামাটা বিয়ে করে দৃষ্টান্ত স্থাপন
হেমন্ত মেহরা বর্তমানে চৌথ কা বারওয়ারার সিভিল জজ হিসেবে কর্মরত এবং কারিনা কালা একজন প্রশিক্ষণার্থী বিচারিক কর্মকর্তা। বিচারক হেমন্ত বলেন যে, বিচারিক চাকরিতে থাকার কারণে তিনি সংবিধানকে সর্বোচ্চ মনে করেন। এই শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস থেকেই তিনি সংবিধান দিবসে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। এই সরল অনুষ্ঠানে উভয়ের পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা কালেক্টর প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী এবং অতিরিক্ত জেলা কালেক্টর ওমপ্রকাশ সাহারান। কর্মকর্তারা নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন এবং তাদের সুখী বিবাহিত জীবন কামনা করেন। এই দুই তরুণ বিচারক যৌতুক বিরোধী এবং সামাজিক সম্প্রীতির এমন একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন, যা হাজার হাজার মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।
করোনার পর হেমন্ত পেয়েছিলেন পোস্টিং
বনসুরের গুন্টা শাহপুর গ্রামের বাসিন্দা হেমন্ত, করোনার মহামারীর পর তার পোস্টিং পান। ২০২১ সালে, তাকে তার নিজ জেলা বনশুরে প্রশিক্ষণের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে যোধপুরে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল। এরপর, তাকে জয়পুর জেলা দায়রা আদালতে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল। হেমন্ত মেহরার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, আর তার মা একজন গৃহিণী। তার বড় ভাই একজন কৃষক। সিভিল জজ এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার আগে, তিনি বনশুরে আইন অনুশীলনও করেছিলেন। অপরদিকে, হনুমানগড়ের নোহারের বাসিন্দা কারিনা কালা, আরজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তার বাবা, এমপি কালা, একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, আর তার মা একজন গৃহিণী।
Published on Monday, 1 December 2025, 5:33 pm | Last Updated on Monday, 1 December 2025, 5:33 pm by Bahok Desk









